ব্লগিং বিষয়ক দ্বিতীয় টিউটরিয়াল এটি। আগের পর্বে ব্লগিং করার কারন সম্পর্কে নানান জনের নানা মতের কথা বলেছিলাম। আমরা এখানে মতামত দেয়ার ক্ষেত্রে মতামত দাতার ভুল সমুহ নিয়ে আলোচনা করতে এসেছি।
১. মতামতের মাঝখানে লিঙ্ক প্রদান
এটা একটা বাজে অভ্যাস । বেশিভাগ কমেন্টই স্প্যাম হিসেবে পরিগনিত হয়। আবার মুছেফেল লেখক । তাই মতামতের মাঝে ইচ্ছাকৃত লিঙ্ক প্রদান থেকে বিরত হোন। বেশিভাগ ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগে ওয়েব সাইটের ঠিকানা/লিঙ্ক দেয়ার ব্যবস্থা থাকে সেখানেই লিঙ্ক দিন। আপনার মতামতটি ভাল হলে পাঠক আপনার সাইট খুজে বের করবেই।
২. লেখকের কথার বাইরের কথা বলা
মতামতে অপ্রাসঙ্গিক কথা বলার অভ্যাস অনেকেরই। অন্যান্য পাঠক যেখানে পোস্টটির বিষয়বস্তু নিয়ে ব্যস্ত সেখানে অপ্রাসঙ্গিক কথার জন্য অন্যরা আপনাকে ঘৃণা করতে পারে।
৩. শুধু মাত্র ধন্যবাদ দিয়ে বা “great post” বলে কমেন্ট করা
এটা স্প্যাম কমেন্টের বৈশিষ্ট্য। তাই শুধু মাত্র ধন্যবাদ দেয়ার জন্য কমেন্ট না করে । বিষয়টির আরও বিস্তারিত কোন দিক নিয়ে আলোচনা করুন।
৪. এই লিংকে প্রবেশ করুন বলে মতামত দেওয়া
এ জাতীয় মন্তব্য করলে আপনার মন্তব্য মুছেফেলা হতে পারে। তাই এভাবে মতামত না দেওয়াই ভাল।
৫. মিথ্যা পোস্টে মতামত দেয়া
মতামত দেয়ার সময় অবশ্যই পোস্টির মান সম্পর্কে আপনার ধারণা থাকতে হবে। যে কোন পোস্টে ইচ্ছাকৃত মতামত না দেয়ার
আরও পড়ুন:
ব্লগ ডিজাইনের ক্ষেত্রে যে ৯ টি বিষয় লক্ষ রাখবেন
ফটোশপ দিয়েই তৈরি করি নিজের ওয়েব সাইটের হেডার
ওয়েব মাস্টারদের প্রয়োজনীয় ৩০০০ এরও বেশি আইকন.
ব্লগার(Blogspot) ব্যবহারকারিদের জন্য Related post Widget (template hack)
জনপ্রিয় ও সুন্দর ব্লগসাইট বানানোর বিশ্বসেরা টিপস
ওয়েব/গ্রাফিক ডিজাইনার ডেভলপারের জন্য অফিসিয়াল টিপস
৬. প্রথম মতামতদাতা হওয়ার চেস্টা
প্রথম মতামতদাতা হওয়ার চেস্টয় অনেকে সময় নষ্ট করেন। এটা করে সময় নষ্ট না করে অন্য কিছু করা যেতে পারে। কখন পোস্টটি প্রকাশ হবে তা দেখে দেখে আপনার সময় অপচয়ের কি দরকার।
৭. মতামত শুধু মাত্র ভুল ধরার জন্যই দেয়া
কেউ কেউ আবার ভুল ধরতে ওস্তাদ।যারা ভুল ধরতে ওস্তাদ তাদের একটা কথা বলে রাখি-“অনেকেই অনেক ভাল জানে কিন্তু তা সবার মাঝে শেয়ার করতে জানে না বা করে না।” তাই যারা নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে তাদের বেশি বেশি ভুল ধরে তাদের লেখার স্পৃহা নস্ট করা ঠিক না। তবে সুন্দরভাবে লেখককে তার ভুলের কথা বলতে পারেন যাতে লেখকের আত্ন সম্মানে আঘাত না লাগে।
৮. “Yeah, I agree, great post!” এ জাতীয় মতামত দেওয়া
এজাতীয় মতামতও মুছে ফেলার সম্ভাবনা অনেক। তাই……
৯. একই মতামত বারবার দেয়া
এটাতে আপনার নাম স্প্যামারের তালিকায় চলে যেতে পারে। তখন আপনি যত কমেন্ট করবেন তাই মুছে যাবে।
১০. বিভিন্ন নামে মতামত দেয়া
নিজের সততা সবচেয়ে বড় একটা বিষয়। ভিন্ন ভিন্ন নামে মতামত দিয়ে চালাকি করে লাভ নেই। আপনার আই পি এড্রেস সাইট মালিকের/এডমিনের কাছে চলে যায়। সহজেই জানতে পারে আপনি কে? আর আই পি লুকালেও কুকি থেকেও আপনার পরিচয় পাওয়া যাবে। যাই হোক ভিন্ন ভিন্ন নামে মতামত না দেয়াই ভাল।
তথ্য সূত্র
apnar link gulu amar dorkar chhilo. tai amar kache ei linkta paowa anonder.
apnake onek dhonnabad r onek onek shuvo kamona.. valo thakben
ভাইয়া পোষ্ট টা পড়ে অনেক দরকারি কিছু আজকে শিখলাম 🙂
আপনি লিখেছেন —-
”বেশিভাগ ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগে ওয়েব সাইটের ঠিকানা/লিঙ্ক দেয়ার ব্যবস্থা থাকে সেখানেই লিঙ্ক দিন। আপনার মতামতটি ভাল হলে পাঠক আপনার সাইট খুজে বের করবেই।”’
techtunes.com; wordpress এর যেসব ওয়েব, সেগুলো তে কোথায়, কিভাবে লিংক দিতে হয়।
অনেকেই দেখা যায় যে লেখা পুরোটা না পড়েই মতামত ব্যক্ত করে, সেক্ষেত্রেও স্প্যামিং হওয়ার সুযোগ থাকে। আপনার লেখার মধ্যে সৃজনশীলতা আছে, তাই পড়ে ভালোই লাগে। ধন্যবাদ।
হুম অনেকেই মতামত দিয়ে প্রথম হতে চায় যেমুন আমি।:P
অবশ্য এত কথা মতামত দেয়ার সময় খেয়াল থাকবে না। ভাল পোস্ট। লেখককে ধন্যবাদ।
Pingback: বাংলা টিউটরিয়াল|বাংলা ভাষায় বিশ্বের প্রথম টিউটরিয়াল সাইট | Bangla Tutorials » Blog Archive » আরএসএস ফিড সম্পর্ক
Pingback: মতামত দেওয়ার সময় যে ১০ টি কথা মনে রাখা দরকার « টিউটোরিয়াল
Pingback: বাংলা টিউটরিয়াল|বাংলা ভাষায় বিশ্বের প্রথম টিউটরিয়াল সাইট | Bangla Tutorials » Blog Archive » মন্তব্য বাড়ানোর উপ