মাইক্রোসফট এক্সেল পর্ব ১ (একেবারেই নবীনদের জন্য)

আমি ভাবতাম, মাইক্রোসফট এক্সেল এ কাজ করতে গেলে মনে হয় অনেক কিছু মনে রাখা লাগে। আর যেহেতু আমি নিজে কষ্ট করে কোন কিছু মনে রাখতে চাই না, তাই এই প্রোগ্রামের ব্যাপারে আমার কোন আগ্রহই ছিল না। যাই হোক একদিন কি মনে করে এক্সেল দেখতে গিয়ে দেখলাম- তেমন কিছু মনে না রেখেও আমি মাইক্রোসফট এক্সেলে আমার প্রয়োজনীয় প্রায় সব কাজই করতে পারব।

কষ্ট করে কোন কিছু মনে না রেখেও আপনি কি ভাবে এক্সেল শিখতে পারবেন, এই পর্বে সেই বিষয়ে আলোচনা করব । কাজেই কোন জিনিসের কি নাম ও কাজ, তার অধিকাংশগুলো আপাতত জানার খুব একটা দরকার নেই।

এক্সেল ওপেন করলেই আপনি দেখবেন খালি ঘর আর ঘর । এই ঘর গুলোর আবার আলাদা আলাদা নাম আছে, যেমন- একদম প্রথম ঘরটা হলো A1, মানে A নাম্বার কলামের 1 নাম্বার ঘর, তাই এই ঘরের নাম A1.

Excell cell
উপরের ছবিতে নীল ঘরটা A1, হলুদ ঘরটা E3, সবুজ ঘরটার নাম কি বলেনতো? আপনি যখন যে ঘরে লেখালিখি করতে থাকবেন, উপরের লাল ঘরটাতে সেই ঘরের নাম দেখাবে। যেমন আমি সর্বশেষ C2 ঘরে কাজ করতে ছিলাম, তাই ঐ ঘরে এখন উঠে আছে C2 ।

আপাতত এই পর্বে আমরা এই ঘরগুলোরর মধ্যে সংখ্যা লিখে, সেগুলো যোগ, বিয়োগ, গুণ আর ভাগ করব।

এক্সেলের সূত্রের ক্ষেত্রে কষ্ট করে হলেও একটা কথা সব সময় মনে রাখতেই হবে, সেটা হলো-


“সূত্র শুরু হয় = চিহ্ন দিয়ে, আর শেষ হয় এন্টার দিয়ে।”

‘’ সূত্র শুরু হয় = চিহ্ন দিয়ে, আর শেষ হয় এন্টার দিয়ে ‘’ এই কথাটা কখনই ভোলা যাবে না।

আপনি যদি, A1 ঘরে লেখেন 40  আর B1 ঘরে 60, আর C1 ঘরে যোগফল পেতে চান, তবে C1 ঘরে লেখা লাগবে  =A1+B1  এরপর অবশ্যই এন্টার দিতে হবে। তাহলে দেখবেন C1 ঘরে 100 লেখা চলে এসেছে।

Excell sum
এখানে C1 ঘরে লেখা শুরু হয়েছে = চিহ্ন দিয়ে এবং শেষ হয়েছে এন্টার দিয়ে, আর মধ্যে প্রয়োজনীয় হিসাব নিকাশ যেটা বোঝা খুব সহজ, কারন A1 আর B1 ঘর যোগ করতে যে A1+B1 লেখা লাগবে এটা খুব সহজেই অনুমান করা যায়।

এ অবস্থায় A1 আর B1 ঘরে ইচ্ছা মতন বিভিন্ন সংখ্যা বসিয়ে দেখেন। C1 ঘরে সব সময় A1 আর B1 ঘরের সঠিক যোগফলটাই দেখাবে।


C1 ঘরে =A1+B1  পুরোটা কিবোর্ড দিয়ে লেখা যায়, আবার = লিখে তার পর A1 বাটনে মাউস দিয়ে ক্লিক করে + চিহ্ণ দিয়ে B1 ঘরে ক্লিক করে লেখাটাই অধিকাংশ ক্ষেত্রে বেশি সহজ হয়।


বিয়োগ (-)

A2 আর  B2 ঘরে যেকোন সংখ্যা  লিখে যদি C2 ঘরে তাদের বিয়োগফল পেতে চান,

তাহলে C2 ঘরে লেখা লাগবে =A2-B2  এবং এর পর অবশ্যই এন্টার দিতে হবে।


গুণ (*)

A3 আর  B3 ঘরে যেকোন সংখ্যা  লিখে যদি C3 ঘরে তাদের গুণফল পেতে চান,

তাহলে C3 ঘরে লেখা লাগবে =A3*B3  এবং এর পর অবশ্যই এন্টার দিতে হবে।


ভাগ (/)

A4 আর  B4 ঘরে যেকোন সংখ্যা  লিখে যদি C4 ঘরে তাদের ভাগফল পেতে চান,

তাহলে C4 ঘরে লেখা লাগবে =A4/B4  এবং এর পর অবশ্যই এন্টার দিতে হবে।

আগামী পর্ব যেন খুব তাড়াতাড়ী দিতে পারি, সেই কামনায় এই পর্ব শেষ করছি। আমার মনে হয় সব গুলো পর্ব একসাথে মাত্র কয়েক ঘন্টা দেখে নতুন যে কেও, গ্রেডসহ একটা পরীক্ষার রেজাল্ট তৈরীর মতন কাজগুলো খুব সহজেই করতে পারবেন।

মাইক্রোসফট এক্সেল পর্ব ১ (একেবারেই নবীনদের জন্য)

মাইক্রোসফট এক্সেল পর্ব ২ (মোটামুটি অপ্রয়োজনীয় পর্ব)

মাইক্রোসফট এক্সেল পর্ব ৩, (অতিপ্রয়োজনীয় if এর সূত্র)

6 thoughts on “মাইক্রোসফট এক্সেল পর্ব ১ (একেবারেই নবীনদের জন্য)”

  1. রাসেল আহমেদ

    দারুণ লেখা। উপকারী পোস্ট!

    1. মাজেদুল মূর্শেদ

      আর আমি সব কিছুতেই দূর্বল

Comments are closed.